কোভিডে আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকারে এগিয়ে এলেন না কেউ : মৃতদেহ দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যেতে হল প্রশাসনকে

28th May 2021 11:02 pm বর্ধমান
কোভিডে আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকারে এগিয়ে এলেন না কেউ : মৃতদেহ দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যেতে হল প্রশাসনকে


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ার আতঙ্কে আতঙ্কিত  গোটা গ্রাম । তাই কেউ এগিয়ে এলেন না কোভিডে আক্রান্ত মৃত বধূর দেহ সৎকারে।শুক্রবার সারাদিন বাড়িতেই পড়ে থাকলো পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জামুদহ গ্রামের বধূ পম্পা নন্দীর মৃতদেহ।প্রশাসন মৃতদেহ উদ্ধারের ব্যবস্থা করলেও গ্রামের শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারেও উঠলো আপত্তি।এই পরিস্থিতিতে এদিন সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে বধূর  মৃতদেহ সৎকারের জন্যে নিয়ে যাওয়া বর্ধমানের নির্মলঝিল শ্মশানে । সেখানেও যাওয়ার ব্যাপারে পরিজনদে  কেউ যেমন যাওয়ার আগ্রহ দেখালেন না তেমনই পাড়ার কেউও আগ্রহ দেখালেন না । প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , জামালপুরের থানার বেরুগ্রাম পঞ্চায়েত  এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম জামুদহ । এই গ্রামেই   শ্বশুর বাড়ি বছর ৩৬ বয়সী বধূ পম্পা নন্দীর  ।তাঁর স্বামী ও একমাত্র অন্তঃসত্ত্বা মেয়েও কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ।বধূর স্বামী তাঁর মেয়ের বাড়িতেই রয়েছেন। সম্প্রতি বধূর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়  । তাঁর কোভিড পরীক্ষা করানো হলে গত ২৬ মে তাঁর কোভিড  পজিটিভ ধরা পড়ে  ।বাড়িতেই থেকেই কোভিডের ওষুধ পত্র খাচ্ছিলেন বধূ ।কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ।শুক্রবার  বেলায় বাড়িতেই বধূর মূত্যু হয় । এরপর বধূর মৃতদেহ সৎকার নিয়ে তৈরি হয় বিপত্তি । বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন , ”এদিন দুপুর আনুমানিক ৩ টে নাগাদ খবর আসে জামুদহ গ্রামের এক কোভিডে মৃত মহিলার দেহ বাড়িতেই পড়ে রয়েছে । সংক্রিত হয়ে পড়ার আতঙ্কে কেউ মৃতদেহে হাত লাগাতে চাইছেন না । মৃতদেহ সৎকারেও কেউ যেতে চাইছেন না । বিষয়টি জানার পরেই বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । এরপরেই পঞ্চায়েত কর্মী অমিত মণ্ডল ও পঞ্চায়েত সদস্য সেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে দানি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত বধূর দেহ উদ্ধারে বিশেষ ভাবে তৎপরতা শুরু করেন। জামালপুর ব্লক হাসপাতাল  থেকে বধূর ’ডেথ’ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয় । পাশাপাশি  চারটি ’ পিপিই কিটের’ ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ।পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ চার জন স্বেচ্ছাসেবককে যোগাড় করেন।  তারাই পিপিপই  কিট পড়ে মৃতদেহ ঘর থেকে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয় । সৎকারের জন্যে ওই মহিলার মৃতদেহ গ্রামের শ্মশানের পরিবর্তে বর্ধমানের নির্মল ঝিলেপাঠানো হয়েছে  “ 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।